এতটুকু একটা মেয়ে, বয়স মাত্র ১০ বছর। সে আবার এত মোটা মোটা বই পড়ে। আবার নাকি গল্পও লেখে। তার নাম নিধি, আকাশলীনা নিধি। সে আর তার বাবা নজরুল সৈয়দ আবার বন্ধু। তারা দুজনে মিলে লিখে ফেলেছে একটা কিশোর অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস ‘রেনুর পুতুল’। মূল গল্পটা নিধির, সেটাকে উপন্যাস করে সাজিয়েছে নজরুল। শুনেই বেশ মজা লাগল। পড়ার পর মজা লাগল আরো বেশি।
প্রথমত বাংলাদেশে ছোটদের জন্য ছোটদের মতো করে লেখা বই খুব কম। বড়রা তাদের পরিণত চিন্তা দিয়ে ছোটদের জন্য লেখার চেষ্টা করেন। কিন্তু একজন ছোট মানুষই যদি ছোটদের জন্য লেখে, তাহলে নিশ্চয়ই তা অনেক ভালো কাজ হবে। ছোটদের আরো বেশি ভালো লাগবে। ‘রেনুর পুতুল’ পড়ে মনে হলো টিন এজারদের জন্য বাংলা ভাষায় একটা চমৎকার সংযোজন হবে এই বই।
১২ বছর বয়সী কোনো লেখকের উপন্যাস বোধ হয় বাংলা ভাষায় আর দ্বিতীয়টি নেই।
এতটুকু একটা মেয়ে, বয়স মাত্র ১০ বছর। সে আবার এত মোটা মোটা বই পড়ে। আবার নাকি গল্পও লেখে। তার নাম নিধি, আকাশলীনা নিধি। সে আর তার বাবা নজরুল সৈয়দ আবার বন্ধু। তারা দুজনে মিলে লিখে ফেলেছে একটা কিশোর অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস ‘রেনুর পুতুল’। মূল গল্পটা নিধির, সেটাকে উপন্যাস করে সাজিয়েছে নজরুল। শুনেই বেশ মজা লাগল। পড়ার পর মজা লাগল আরো বেশি।
প্রথমত বাংলাদেশে ছোটদের জন্য ছোটদের মতো করে লেখা বই খুব কম। বড়রা তাদের পরিণত চিন্তা দিয়ে ছোটদের জন্য লেখার চেষ্টা করেন। কিন্তু একজন ছোট মানুষই যদি ছোটদের জন্য লেখে, তাহলে নিশ্চয়ই তা অনেক ভালো কাজ হবে। ছোটদের আরো বেশি ভালো লাগবে। ‘রেনুর পুতুল’ পড়ে মনে হলো টিন এজারদের জন্য বাংলা ভাষায় একটা চমৎকার সংযোজন হবে এই বই।
১২ বছর বয়সী কোনো লেখকের উপন্যাস বোধ হয় বাংলা ভাষায় আর দ্বিতীয়টি নেই।
‘ক্রিয়েটিভ ঢাকা’ এযাবৎ যত বই করেছে সবগুলোরই প্রচ্ছদ আমার করা। কিন্তু যেহেতু নিধি নিজে আবার ভালো অঁাকেও, তাই মনে হলো এই বইটার প্রচ্ছদ আর অলংকরণ নিধি করলে কেমন হয়?
নিধি আবার ব্যস্ত ভীষণ। স্কুল, টিউটর, গিটার, সেলফ ডিফেন্স, খেলা, পড়া টিউটর ইত্যাদির ফাঁকে অবসর নেই। আর অঁাকার ব্যাপারে তার মুডটাও তো আসতে হবে! চকোলেটের লোভ দেখিয়েও লাভ হলো না, সে আবার চকোলেট পছন্দ করে না। শেষ পর্যন্ত দারুণ সব ছবি অঁাকা সুন্দর একটা ক্যালেন্ডার উপহার দেওয়ার পর তার মন কিছুটা গলল। একটা প্রচ্ছদ এঁকে দিল। একেবারে ঠিক বইয়ের প্রচ্ছদ যে রকম হয় সে রকম। চরিত্রগুলোকে সে যেভাবে দেখেছে, সে রকম। সঙ্গে পাওয়া গেল গল্পের কয়েকটি ঘটনা নিয়ে অঁাকা ছবি। সব মিলিয়ে তৈরি হলো ‘রেনুর পুতুল’।
উপন্যাসটা লেখাই হয়েছে নিধির বয়সী একজন প্রায় কিশোরের বয়ানে। ‘রেনুর পুতুল’—এ যেমন দারুণ একটি অ্যাডভেঞ্চারের গল্প আছে, তেমনি আছে ইমোশনের গল্প। সবরকম মানুষকে ভালোবাসা, সব মানুষকেই মানুষ হিসেবে ভাবতে শেখা, এমনকি লোকে যাকে পাগল বলে তাকেও যে মানুষ হিসেবে ভাবা যায় সেই দিকগুলো খুব চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে এ বইয়ে। আছে প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্কটা ঠিক কেমন হওয়া উচিত, সেই গল্প। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক গল্প আছে বাংলা ভাষায়, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের প্রায় ৫০ বছর পরে একজন শিশুর চোখে মুক্তিযুদ্ধকে নতুন করে দেখা যায় এই উপন্যাসে। শুধু একটি গল্প না, এ বইটি আসলে কিশোর বয়সীদের মনে তৈরি করবে এক নতুন অনুভূতি। সব বয়সী পাঠককে ছুঁয়ে যাবে ‘রেনুর পুতুল’।
‘রেনুর পুতুল’ ক্রিয়েটিভ ঢাকা পাবলিকেশন্স—এর ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য সংযোজন হয়ে রইল।
এতটুকু একটা মেয়ে, বয়স মাত্র ১০ বছর। সে আবার এত মোটা মোটা বই পড়ে। আবার নাকি গল্পও লেখে। তার নাম নিধি, আকাশলীনা নিধি। সে আর তার বাবা নজরুল সৈয়দ আবার বন্ধু। তারা দুজনে মিলে লিখে ফেলেছে একটা কিশোর অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস ‘রেনুর পুতুল’। মূল গল্পটা নিধির, সেটাকে উপন্যাস করে সাজিয়েছে নজরুল। শুনেই বেশ মজা লাগল। পড়ার পর মজা লাগল আরো বেশি।
প্রথমত বাংলাদেশে ছোটদের জন্য ছোটদের মতো করে লেখা বই খুব কম। বড়রা তাদের পরিণত চিন্তা দিয়ে ছোটদের জন্য লেখার চেষ্টা করেন। কিন্তু একজন ছোট মানুষই যদি ছোটদের জন্য লেখে, তাহলে নিশ্চয়ই তা অনেক ভালো কাজ হবে। ছোটদের আরো বেশি ভালো লাগবে। ‘রেনুর পুতুল’ পড়ে মনে হলো টিন এজারদের জন্য বাংলা ভাষায় একটা চমৎকার সংযোজন হবে এই বই।
১২ বছর বয়সী কোনো লেখকের উপন্যাস বোধ হয় বাংলা ভাষায় আর দ্বিতীয়টি নেই।
By আকাশলীনা নিধি
Category: উপন্যাস
এতটুকু একটা মেয়ে, বয়স মাত্র ১০ বছর। সে আবার এত মোটা মোটা বই পড়ে। আবার নাকি গল্পও লেখে। তার নাম নিধি, আকাশলীনা নিধি। সে আর তার বাবা নজরুল সৈয়দ আবার বন্ধু। তারা দুজনে মিলে লিখে ফেলেছে একটা কিশোর অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস ‘রেনুর পুতুল’। মূল গল্পটা নিধির, সেটাকে উপন্যাস করে সাজিয়েছে নজরুল। শুনেই বেশ মজা লাগল। পড়ার পর মজা লাগল আরো বেশি।
প্রথমত বাংলাদেশে ছোটদের জন্য ছোটদের মতো করে লেখা বই খুব কম। বড়রা তাদের পরিণত চিন্তা দিয়ে ছোটদের জন্য লেখার চেষ্টা করেন। কিন্তু একজন ছোট মানুষই যদি ছোটদের জন্য লেখে, তাহলে নিশ্চয়ই তা অনেক ভালো কাজ হবে। ছোটদের আরো বেশি ভালো লাগবে। ‘রেনুর পুতুল’ পড়ে মনে হলো টিন এজারদের জন্য বাংলা ভাষায় একটা চমৎকার সংযোজন হবে এই বই।
১২ বছর বয়সী কোনো লেখকের উপন্যাস বোধ হয় বাংলা ভাষায় আর দ্বিতীয়টি নেই।
‘ক্রিয়েটিভ ঢাকা’ এযাবৎ যত বই করেছে সবগুলোরই প্রচ্ছদ আমার করা। কিন্তু যেহেতু নিধি নিজে আবার ভালো অঁাকেও, তাই মনে হলো এই বইটার প্রচ্ছদ আর অলংকরণ নিধি করলে কেমন হয়?
নিধি আবার ব্যস্ত ভীষণ। স্কুল, টিউটর, গিটার, সেলফ ডিফেন্স, খেলা, পড়া টিউটর ইত্যাদির ফাঁকে অবসর নেই। আর অঁাকার ব্যাপারে তার মুডটাও তো আসতে হবে! চকোলেটের লোভ দেখিয়েও লাভ হলো না, সে আবার চকোলেট পছন্দ করে না। শেষ পর্যন্ত দারুণ সব ছবি অঁাকা সুন্দর একটা ক্যালেন্ডার উপহার দেওয়ার পর তার মন কিছুটা গলল। একটা প্রচ্ছদ এঁকে দিল। একেবারে ঠিক বইয়ের প্রচ্ছদ যে রকম হয় সে রকম। চরিত্রগুলোকে সে যেভাবে দেখেছে, সে রকম। সঙ্গে পাওয়া গেল গল্পের কয়েকটি ঘটনা নিয়ে অঁাকা ছবি। সব মিলিয়ে তৈরি হলো ‘রেনুর পুতুল’।
উপন্যাসটা লেখাই হয়েছে নিধির বয়সী একজন প্রায় কিশোরের বয়ানে। ‘রেনুর পুতুল’—এ যেমন দারুণ একটি অ্যাডভেঞ্চারের গল্প আছে, তেমনি আছে ইমোশনের গল্প। সবরকম মানুষকে ভালোবাসা, সব মানুষকেই মানুষ হিসেবে ভাবতে শেখা, এমনকি লোকে যাকে পাগল বলে তাকেও যে মানুষ হিসেবে ভাবা যায় সেই দিকগুলো খুব চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে এ বইয়ে। আছে প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্কটা ঠিক কেমন হওয়া উচিত, সেই গল্প। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক গল্প আছে বাংলা ভাষায়, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের প্রায় ৫০ বছর পরে একজন শিশুর চোখে মুক্তিযুদ্ধকে নতুন করে দেখা যায় এই উপন্যাসে। শুধু একটি গল্প না, এ বইটি আসলে কিশোর বয়সীদের মনে তৈরি করবে এক নতুন অনুভূতি। সব বয়সী পাঠককে ছুঁয়ে যাবে ‘রেনুর পুতুল’।
‘রেনুর পুতুল’ ক্রিয়েটিভ ঢাকা পাবলিকেশন্স—এর ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য সংযোজন হয়ে রইল।